আনোয়ারা ঢাকাই সিনেমার কিংবদন্তি অভিনেত্রী। এদেশের সিনেমাপ্রেমীদের কাছে সাদাকালো নবাব সিরাজ-উদ-দৌল্লার আলেয়া কিংবা সাদাকালো দেবদাসের চন্দ্রমুখী চরিত্রে আনোয়ারার নাম থেকে যাবে চিরদিন।
এছাড়া পাঁচ দশকেরও বেশি সময়ের ক্যারিয়ারে তিনি উপহার দিয়েছেন অনেক কালজয়ী সিনেমার দুর্দান্ত চরিত্র। তার কন্যা রুমানা রাব্বানি মুক্তি। তিনিও মায়ের পথ ধরে সিনেমায় নাম লিখিয়েছিলেন।
১৯৯৩ সালে ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ সিনেমা দিয়ে যাত্রা শুরু করেন মুক্তি। আলোচনায় আসেন একই বছরের সিনেমা ‘চাঁদের আলো’ দিয়ে। ওমর সানীর বিপরীতে এই সিনেমায় আলো চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি।
মুক্তি দর্শক মুগ্ধ করেছেন হুমায়ূন আহমেদের নন্দিত চলচ্চিত্র ‘শ্রাবণ মেঘের দিনে’ জমিদারের বড় নাতনির চরিত্রে। এখানে শাহানারূপী মুক্তিকে দর্শক মনে রাখবেন অনেকদিন। কাজ করেছেন তিনি হেলাল খানের বিপরীতে ‘হাছন রাজা’ সিনেমাতেও। কাজ করেছেন কিছু নাটক-টেলিছবিতেও।
সেই মুক্তি অভিনয়ে নেই পাঁচ বছরেরও বেশি সময়। কেন? এই প্রশ্ন এসেছে ঘুরেফিরে বারবার। সঠিক জবাব মেলেনি কখনো। অবশেষে নায়িকা নিজেই জানালেন তার অভিনয় ছাড়ার কারণ।
বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি জানিয়েছেন, নামাজ পড়তে অসুবিধা হয় বলে পাঁচ বছর ধরে অভিনয় করেন না।
মুক্তি লিখেছেন, ‘অনেকই জিজ্ঞেস করে, আমি অভিনয় ছেড়ে দিলাম কেন? আসলে সময়মতো নামাজ পড়তে আমার অসুবিধা হতো। তাই প্রায় পাঁচ বছর হলো আমি অভিনয় ছেড়ে দিয়েছি।’
তার এই স্ট্যাটাসের নিচে অনেকেই এই সিদ্ধান্তের জন্য তাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। অনেকে মন খারাপ করে মুক্তির অভিনয় মিস করবেন বলেও জানান